শিলিগুড়ি শিক্ষক-শিক্ষণ মহাবিদ্যালয়ের জেন্ডার সেন্সিটাইজেশন কমিটি ও আই.কিউ.এ.সি এর আন্তর্জাতিক আন্তর্জালিক আলোচনাচক্র

শিলিগুড়ি শিক্ষক-শিক্ষণ মহাবিদ্যালয়ের জেন্ডার সেন্সিটাইজেশন কমিটি ও আই.কিউ.এ.সি এর  আন্তর্জাতিক আন্তর্জালিক আলোচনাচক্র 





শিলিগুড়ি শিক্ষক-শিক্ষণ মহাবিদ্যালয়ের জেন্ডার সেন্সিটাইজেশন কমিটি ও আই.কিউ.এ.সি দ্বারা আয়োজিত দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক আন্তর্জালিক আলোচনাচক্র অনুষ্ঠিত হয় গত ৮ এবং ৯ই অক্টোবর । বিষয় 'লুকিং অ্যাট জেন্ডার থ্রু ভ্যারিং লেন্সেস'। উক্ত আলোচনা সভাটি অনুষ্ঠিত হয় ইউটিউব এবং গুগোল মিটের মাধ্যমে‌। জানা গেছে ৯৪ জন পেপার প্রেজেন্ট এবং ৮২৬জন রেজিস্ট্রেশন করেছেন।




উক্ত ওয়েবিনারটির আহ্বায়ক হিসেবে ছিলেন শিলিগুড়ি শিক্ষক-শিক্ষণ মহাবিদ্যালয়ের অধ্যাপিকা ড. রত্না নন্দী এবং অধ্যাপক শ্রী সৌরভ দাস মহাশয় এবং অতিথি বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ড.সৌগত মার্জিত ,ড. প্রণব কৃষ্ণচন্দ্, বাংলাদেশের অধ্যাপিকা ড. ফয়জুন নাহার ,ড. সুজিত কুমার বিশ্বাস ও ড. সুমনা দাস।





ওয়েবিনারের প্রথম দিন অধ্যাপক সৌরভ দাস বলেন - ' বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে সামাজিক লিঙ্গকে দেখার এক ক্ষুদ্র প্রয়াস আমাদের এই দু'দিনের আন্তর্জাতিক আন্তর্জালিক-আলোচনাচক্রটি। মনে করা হয়, সৃষ্টির প্রথম লগ্ন থেকে মানবজাতি জৈবিক লিঙ্গ অনুযায়ী মূলত দু'টি দলে ভাগ হয়ে যায়, স্ত্রী এবং পুরুষ। পাশাপাশি তৃতীয় সত্তা কিন্তু সেদিনও বর্তমান ছিল। এবং ধীরে ধীরে সেই মানব সমাজ কিভাবে ওই ব্যক্তিটিকে ও মানুষটিকে আচরণ করতে হবে তা নির্ধারণ করে দেয়।এমনকি কোন আচরণের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে কিভাবে বা কি হিসাবে দেখা হবে, এবং তার প্রতি কি ধরনের প্রতিআচরণ করা হবে, তাও ঠিক করে দেয়। সেই গৎবাঁধা নিয়মের বাইরে বেরিয়ে যদি কেউ আসতে চায়, তা নিয়েই বাঁধে পক্ষ প্রতিপক্ষের অন্তর্কলহ। তা ব্যক্তির সঙ্গে ব্যক্তির হতে পারে, ব্যক্তির সঙ্গে সমাজের হতে পারে, এমনকি ব্যক্তির নিজের সঙ্গে তার অন্তর্দ্বন্দ্ব হতে পারে। যেভাবে দেখিনা কেন, এই একুশ শতকে দাঁড়িয়ে জৈবিক লিঙ্গ বনাম সামাজিক লিঙ্গগত যে ধারণা, বা ভাবনাচিন্তা তার হয়তো কিছুটা উত্তরণ প্রয়োজন। যেখানে একজন পুরুষের পাশে সম মর্যাদায় ভূষিত হবেন একজন নারী। কেবলমাত্র একজন নারী কেন, একজন তৃতীয় সত্তার ব্যক্তিও। সেই নতুন পরিবার, নতুন সমাজ, নতুন রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা, সেইসঙ্গে নতুন নতুন দৃষ্টিভঙ্গি, নতুন চেতনা এবং সেই চেতনার আলোকে উদ্বুদ্ধ হয়ে আমাদের নতুনতর ভূমিকা পালনের অঙ্গীকার রাখবো আমরা আমাদের দুদিনের আলোচনাসভায়।'




এই দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক আন্তর্জাতিক আলোচনাচক্রটি সার্থক ও সুন্দর করে তুলতে যাদের ভূমিকা অনস্বীকার্য, তাঁরা হলেন -এই মহাবিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতির সভাপতি ও উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজের প্রফেসর ড. কল্যাণ খান , এই মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ড. বিভূতিভূষণ সারেঙ্গী এবং অধ্যাপক ও অধ্যাপিকা বৃন্দ - ড. নীতা মিত্র, ড. ঋতুপর্ণা বসাক( দাশগুপ্ত ), ড. নিত্য গোপাল মন্ডল , সদর শেখ,কনাদ দত্ত ও শুভাশিস কুন্ডু ।




এই অধিবেশনের সমাপ্তির পর এই মহাবিদ্যালয়ের চতুর্থ-অর্ধবর্ষের প্রশিক্ষণার্থী সুজাতা ঘোষ জানান - " আলোচনা চক্রটি যথেষ্ট মনোরম ও মনোগ্রাহী হয়েছে; আমি নিশ্চিত প্রত্যেকেই এই বিষয়ের বিভিন্ন দিক অন্তর থেকে অনুভব করেছেন , যা পরবর্তীকালে আমাদের লিঙ্গগত যে মানসিক ধারণা বা দৃষ্টিভঙ্গি তার বদল আনবে এবং সমাজের মানুষকে নতুন দিশা দেখাবে। শুধুমাত্র তাই নয় ড. সুমনা দাস ম্যাডাম যেভাবে সাহিত্যের মধ্য দিয়ে এই বিষয়ের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে নতুন ভাবে ভাবার ও জানার দিশা দেখিয়েছেন, তাতে সাহিত্যপ্রেমীদের আরো বেশি সাহিত্যের প্রতি আকৃষ্ট করেছে বলেই আমার মনে হয় ।'

Post a Comment